বিশ্বকর্মা পুজোর প্রাক্কালে দোকানে আচমকা পুলিশি হানা : উদ্ধার প্রচুর চায়না সুতো

30th August 2020 5:31 pm হুগলী
বিশ্বকর্মা পুজোর প্রাক্কালে দোকানে আচমকা পুলিশি হানা : উদ্ধার প্রচুর চায়না সুতো


নিজস্ব সংবাদদাতা ( শেওড়াফুলি ) : আসছে বিশ্বকর্মা পুজো,তার আগে চায়না সুতো মজুত করার খবর পেয়ে হানা দিল পুলিশ,আটক প্রচুর সুতো। বস্তা বস্তা চায়না মাঞ্জা সুতো বাজেয়াপ্ত করল শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ। ভাদ্র সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ প্রাচীন কাল থেকে । এছাড়াও পৌষ সংক্রান্তি সহ বিভিন্ন উৎসবে ঘুড়ি ওড়ে আকাশে।আর সেই ঘুড়ি ওড়াতে ব্যবহার করা হয় চীনা নাইলন সুতো।আগের সুতির সুতো সহজেই ছিঁড়ে যেত চায়না সুতো তার তুলনায় খুবই শক্ত। যে কারনে চায়না সুতোয় বিপদের আশঙ্কা থাকে। সুতোয় জড়িয়ে পাখির মৃত্যু হয়, সুতোয় আটকে মানুষেরও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে । যে কারনে চায়না সুতো বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।তবু লুকিয়ে  চায়না সুতো বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।আজ শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ চায়না সুতো মজুুত করা হয়েছে জানতে পেরে অভিযান চালায় শেওড়াফুলি স্টেশন সংলগ্ন বাজারে। কয়েকটি দোকান থেকে বস্তা বস্তা নাইলনের সুতো উদ্ধার হয়েছে । আগামীদিনেও সমস্ত জায়গাতেই ধারাবাহিক অভিযান চলবে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।